ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ , ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

উত্তরা ট্রাজেডি: আরও ৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা ২৭

আপলোড সময় : ২২-০৭-২০২৫ ১০:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৭-২০২৫ ১০:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
উত্তরা ট্রাজেডি: আরও ৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা ২৭
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন— এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও সায়ান ইউসুফ (১৪)। সোমবার রাত সোয়া ৩টার দিকে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

সবশেষ পাওয়া তথ্যে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

এর আগে সোমবার রাত ৮টার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বিবৃতিতে জানায়, দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১৭১ জন। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত দেড়টার দিকে আইএসপিআর জানায়, এর মধ্যে আটজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা ‘দুই’ বলা হলেও পরে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন মাহেরীন চৌধুরী (৪০) ও আফনান (১৪) মারা গেছেন। কিছুক্ষণ পর আরও এক শিক্ষার্থী, আব্দুল্লাহ সামিন (১৪), মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

রাত সোয়া ৩টার দিকে আরও চারজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭-এ। চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মৃত্যুবরণকারীদের শরীরের অধিকাংশই দগ্ধ ছিল—এরিকসনের শরীরের ১০০ শতাংশ, আরিয়ানের ৮৫ শতাংশ, নাজিয়ার ৯০ শতাংশ এবং সায়ান ইউসুফের ৯৫ শতাংশ।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সেখানে আইসিইউ ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২ জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিধ্বস্তের ভয়াবহতা

সোমবার দুপুর ১টার কিছু পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। মুহূর্তেই ভবনে আগুন ধরে যায়। ঘটনার সময় ভবনটিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যাদের অনেকেই দগ্ধ বা আহত হন।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবিও অভিযানে অংশ নেয়। গুরুতর আহতদের বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রীয় শোক ও শোকবার্তা

দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সারা দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। শোক দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ